বেনাপোলে পাসপোর্ট যাত্রীর যাতায়াত বেড়েছে
DESK NEWS 4TV দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে বেড়েছে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত। যাত্রীদের অধিকাংশই বিজনেস ও মেডিকেল ভিসা নিয়ে যাতায়াত করছে ভারতে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাংলাদেশি যাত্রীরা যাচ্ছেন ভারতে। চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ১৮ দিনে বেনাপোল আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর দিয়ে যাতায়াত করেছেন ১৯ হাজার ৪৮০ জন যাত্রী। যাদের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেছেন ১০ হাজার ৩০৮ জন। ভারত থেকে এসেছেন ৯ হাজার ১৭২ জন। কাস্টমসও বন্দর সূত্র জানায়, করোনার মহামারির কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে কয়েক দফা বন্ধ করে দেওয়া হয় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল। ফলে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট এলাকায় ভুতুড়ে পল্লীতে পরিণত হয়। সম্প্রতি ভারত সরকার শুধুমাত্র বিজনেস ও মেডিকেল ভিসা চালু করায় বেড়ে যায় যাত্রী চলাচল। ফলে ফিরে আসে প্রাণচাঞ্চল্য। বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, সম্প্রতি মেডিকেল ও বাংলাদেশে ভারতের বিভিন্ন প্রকল্পে চাকরিরত যাত্রীদের চলাচলের অনুমতি মেলার পরও যাত্রী চলাচল ছিল প্রতিদিন ২৫০ জন। কারণ যাত্রীদের ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশন থেকে অনুমতিপত্র লাগতো। এছাড়া যাত্রীদের নিজখরচে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হতো। তবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশন থেকে ভারত ভ্রমণের অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি তুলে নেওয়ায় বেড়েছে যাত্রী সংখ্যা। সূত্র জানায়, গত ১ অক্টোবর ১ হাজার ৩৫৭ জন, ২ অক্টোবর ১ হাজার ২৬৭ জন, ৩ অক্টোবর ১ হাজার ১৬৫ জন, ৪ অক্টোবর ১ হাজার ২৯৯ জন, ৫ অক্টোবর ১ হাজার ২৩৫ জন, ৬ অক্টোবর ১ হাজার ২৮৬ জন, ৭ অক্টোবর ১ হাজার ৩২ জন, ৮ অক্টোবর ১ হাজার ১০, ৯ অক্টোবর ১ হাজার ৮০, ১০ অক্টোবর ১ হাজার ৫১ জন, ১১ অক্টোবর ৯২২ জন, ১২ অক্টোবর ৮৯০ জন, ১৩ অক্টোবর ৮৪০ জন, ১৪ অক্টোবর ১ হাজার ২২৩ জন, ১৫ অক্টোবর ৮৪৩ জন, ১৬ অক্টোবর ৯৮০ জন, ১৭ অক্টোবর ১ হাজার জন, ১৮ অক্টোবর ৯৮০ পাসপোর্টযাত্রী বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত করেছেন। যশোরের শাহআলম, ঢাকার ওবায়দুর রহমান, ও খুলনার বাবলুর রহমান জানান, আমরা এর আগেও যাতায়াত করেছি। আগে চেকপোস্ট এলাকায় প্রবেশ মুখে বহিরাগত কিছু দালাল উৎপাত করত। সম্প্রতি এ উৎপাত চোখে পড়ছে না। বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি মোহাম্মাদ রাজু আহমেদ বলেন, যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কেউ যাতে এখানে হয়রানির শিকার না হন সেজন্য সব অফিসারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো বহিরাগত দালালের উৎপাতের অভিযোগ পাওয়া যায় তাকে থানায় সোপর্দ করা হবে। বিশেষ করে ভারতে নারী ও শিশু পাচার বন্ধে জোর তৎপরতা অব্যাহত আছে। আমি যোগদানের আগে এ পথে ১০ হাজারের বেশি যাত্রী চলাচল করেছে। টুরিস্ট ভিসা ছাড়লে আশা করছি এ সংখ্যা আরও দ্বিগুণ হবে।